সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: কৃষি মন্ত্রালয়ের আমদানির অনুমতি প্রাপ্তির পর ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার ১২০টি ট্রাকে প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিক টন ভারতীয় পেয়াঁজ বাংলাদেশে আমদানি হয়েছে। ফলে দেশের অভ্যন্তরীন বাজারে পেয়াঁজের দাম কমতে শুরু করেছে। আজ ভোমরা বন্দরে সর্বোচ্চ পয়ত্রিশ টাকা পাইকারী দরে পেয়াঁজ বেচাকেনা হয়েছে। এখনও ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় দেড় শতাধিক পেঁয়াজবাহি ট্রাক অপেক্ষা করছে বলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে। এদিকে ৮১ দিন পর আমদানির অনুমতি পাওয়ায় সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ২/১ দিনের মধ্যে পুরোপুরি বাজারে ঢুকলে পেঁয়াজের বাজারে স্বস্থি ফিরবে বলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানিয়েছেন। কৃষকের স্বার্থের কথা বিবেচনায় নিয়ে গত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু গত এক মাসের ব্যবধানে দেশের বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারনে রোববার কৃষি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার কথা জানায়। ভোমরার ব্যাবসায়ী মা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আমির হামজা জানান, প্রতি টন পেঁয়াজ ২২০ থেকে ২৫০ মার্কিন ডলার মূল্যে ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা হচ্ছে। সেই হিসেবে প্রতিকেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য ২৮ টাকা হওয়ার কথা। ভোমরা কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা ইফতেখার উদ্দিন সাংবাদিকদেও জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১২০ ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করেছে। তবে সব মিলিয়ে কত মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে তা হিসাব করে বলতে আরো কিছুটা সময় লাগবে বলে জানান তিনি।