৯০ দশকের জনপ্রিয় ভিডিও গেমস মোস্তফা’র দুই জনপ্রিয় চরিত্র জ্যাক এবং হান্না’র নামকরনে রাখা হয়েছে জার্মান শেফার্ড দুটি’র নাম। খামার মালিক মুজাহিদুল ইসলাম তার কোটি টাকার খামারে পাহাড়া’য় বিশ্ব্যস্ত বেছে নিয়েছেন কুকুরকে। এতে করে খামার রয়েছে সুরক্ষ চিন্তা মুক্ত হয়েছেন কোন রকমের অপৃতিকর ঘটনা ঘটার হাত থেকে। তিন মাস বয়স থেকে শুরু করে বর্তমানে ১৪ মাস বয়স পর্যন্ত শেফার্ড দুটি নানান ভাবে তাদের বিশ্ব্যস্ততার নিদর্শন দেখিয়েছেন বহুবার। বছর খানেক আগে নওগাঁর পোরশা উপজেলার ছাওড় ইউনিয়নের সারক ডাংগার মাঠ নোনাহার (পশ্চিম পাড়ায়) একটি গরুর খামার গড়ে সেখানে প্রায় শতাধিক দেশী বিদেশী জাতের গরু পালন করে আছে মুজাহিদুল ইসলাম জাহিদ। খামারের নিরাপত্তার দায়িত্বে রেখেছেন বিদেশি (জার্মান শেফার্ড) জাতের দুটি কুকুর জ্যাক এবং হান্না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদ বিদ্যা নিয়ে পড়াশুনা শেষ না করে নিজ এলাকায় গড়ে তুলেছেন গরুর খামার। প্রায় দুই একর জমি নিয়ে খামারে প্রায় শতাধিক গরু লালন পালন করছেন তিনি এবং তার কর্মচারিরা। খামার পাহাড়ায় রেখেছেন বিদেশি জার্মান শেফার্ড। বাড়তি নিরাপত্তা দানে শেফার্ড দুটি অতুলনীয় বলে জানিয়েছেন খামার মালিক মুজাহিদুল ইসলাম জাহিদ। তিনি জানান- প্রথমে শখের বসে শেফার্ড দুটিকে নিজ বাড়িতে পালন এর জন্য নিয়েছিলেন। তারপর তাদের খামার পাহাড়ার কাজে নিয়ে আসা হয়। মানুষের চেয়ে কুকুর অনেক বেশি বিশ্বস্ত। রাত ৮টার পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় আবার সকালে তাদের আটকে রাখা হয়। খামারের চারপাশে বাউন্ডারি থাকায় তারা বাইরে কোথায় যেতে পারে না। এছাড়াও খামার দেখাশোনার জন্য ছয়/সাত জন মানুষ আছে। তারা দিনের বেলা দেখাশোনা করে।
এদিকে খামাড় পরিচর্যাকারিরা জানান- কুকুর দুটির প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পল্ট্রি’র মুরগির মাংস দিয়ে ভাত, গরুর শ্বেদ্ধ মাংস, ডগ ফুড গুলো খাওয়ানো হয়। এছাড়া প্রতিদিন তিনবেলা সাবান সাম্পু দিয়ে গোসল করানো পর লোমগুলো চিরুনি দিয়ে আচড়ে দিতে হয়। দুই শেফার্ডকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সময় মত ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়। প্রথমে শখের বশে হলেও বেশ সাড়া ফেলেছে এলাকায়। এছাড়াও তার এই খামারে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে ছয়/সাত জন মানুষের। যারা এই আয় দিয়ে নিজ পরিবারকে করেছেন স্বচ্ছল।