পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আপন ভাগনীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠছে আপন মামা পল্লী চিকিৎসক এবিএম নিজাম বিল্লাহর বিরুদ্ধে। ধর্ষনের ঘটনার দশদিন পর ওই ছাত্রীর মা সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ছোট ভাইকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করে। পরে ওইদিন বিকেলেই পুলিশ পৌরশহরের দক্ষিণ বন্দর এলাকা থেকে নিজামের মালিকানাধীন খাজা ডেন্টাল কেয়ার ও লিমু মেডিকেল হল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত নিজাম বিল্লাহ উপজেলার দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে। পুলিশ ও ছাত্রী সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ আগষ্ট’২৩ তারিখ শনিবার দুপুরে নিজাম বিল্লাহ ফোনে আপন ভাগনি কলেজ ছাত্রীকে জরুরী কাজের কথা আছে বলে সরকারী কলেজ পাড়ার ভাড়া বাসা থেকে তার চেম্বারে আসতে বলে। ওই ভাগনী চেম্বারে এলে একাকীত্বের সুযোগ নিয়ে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। লোক লজ্জার ভয়ে ওই ছাত্রী বিষয়টি কাউকে না বললেও সে তার মাকে জানায়। আপন মামা তার সম্ভ্রমহানী করেছে এ লজ্জায় সে গত কয়েকদিন ধরে বিষ নিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। পরে ওই ছাত্রীর মা তার মেয়েকে নিয়ে আজ সোমবার থানায় গিয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভিকটিম ওই ছাত্রীর মা জানান, আমার লম্পট ভাই আমার মেয়ের যে সর্বনাশ করেছে আমি এর সঠিক বিচার চাই। তিনি আরও বলেন, নিজামের দু’স্ত্রী থাকলেও সে একাধিক নারী গঠিত কেলেংকারীর সাথে জড়িত। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মামলা দায়েরের পর পরই এ ঘটনায় জড়িত নিজাম বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ভিকটিম ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে এবং গ্রেপ্তারকৃত নিজাম বিল্লাহকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।