পিরোজপুরের নেছারাবাদে নিখোঁজের চার দিনের পর মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় মো. হাসানুর রহমান অপু (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছেন থানা পুলিশ। শনিবার (০৭ অক্টোবর) উপজেলার দক্ষিন সেহাংগল (সুন্দর) গ্রামের রুমান শেখ এর বাড়ির খড়ের গাদার পাশ থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ করে স্হানীয়রা রুমানের মা লিপি বেগম, বোন সুমনা আকতার ও ভাইয়ের মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। নিহত অপু উপজেলার সমেদয়কাঠি ইউনিয়নের সেহাংগল গ্রামের সাবেক ব্যাংক কর্মচারী আ: জব্বারের ছেলে। তারা পরিবার নিয়ে খুলনা থাকেন।নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. ছরোয়ার হোসেন জানান, ওই দিন দুুপুরে হাসানুর রহমান অপু নামে এক যুবকের মাটি চাপা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো ও মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।নিহতের মামাতো ভাই মো. আজাদ হোসনে জানান,গত বুধবার (০৪ অক্টোবর) একই গ্রামের সাবেক মেম্বার মকবুল হোসেন শেখের ছেলে রুমান তাকে ডেকে নেয়।সেই থেকে অপু নিখোঁজ রয়েছে। শনিবার সকালে ওই গ্রামের জহির নামের এক ছেলে রুমানের বাড়ির পাশের বাগানে সুপারি পাড়তে গেলে দুর্গন্ধ পায়।পরে জহির বিষয়টি পার্শ্ববর্তী মাদরাসার সামনে থাকা লোকজনকে জানালে তারা ঘটনা স্হলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে লাশ দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দেয়।এ সময় ডাক চিৎকার শুনে এলাকার শত শত মানুষ ঘটনাস্হলে ছুটে এসে অপুর লাশ দেখে বিক্ষুব্ধ হয়ে রুমানের ঘর ঘেরাও করে এবং দুইটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।পরে স্হানীয়রা রুমানের মা লিপি বেগম, বোন সুমনা আকতার ও ভাতিজি সাদিয়া আক্তারকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।পুলিশ ঘটনাস্হলে গিয়ে অপুর লাশ উদ্ধার করে ও আটককৃতদের থানায় নিয়ে যায়।ঘটনার পর থেকে রুমান পালাতক রয়েছে।পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. শফিউর রহমান ও সহকারী পুলিশ সুপার (নেছারাবাদ- কাউখালী সার্কেল) সাবরিনা মেহেবুব ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেছেন।পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।নিহতের পরিবার ও স্হানীয় সূত্র জানান, নিহত হাসানুর রহমান অপু পরিবার নিয়ে খুলনা থাকেন।নিজ এলাকায় সুপারির বাগান কেনার ব্যাবসা করেন।ওই বাগানের সুপারি পাড়াতে তিনি এলাকায় থাকেন।প্রসঙ্গত, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রুমান এরপূর্বে সেহাংগলের মা-মেয়ে জোড়া খুনের প্রধান আসামী ছিলেন।ওই মামলায় জামিনে থেকে এলাকায় নানা প্রকার অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন।