পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান খালেকের প্রার্থীতা স্থগিতে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ওই আদেশ প্রদান করেন।জানা গেছে, এর আগে গত ২৪ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি ডিভিশন ওই প্রার্থীর রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে প্রার্থী ঘোষনা করে প্রতীক বরাদ্দের জন্য পিরোজপুর জেলা রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।ওই আদেশের বলে তাকে গত দুই দিন আগে বৈধ প্রার্থী ঘোষনা সহ তাকে মোটর সাইকেল প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বৈধ প্রার্থী ও ওই উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এসএম বায়েজিদ হোসেন (দোয়াত কলাম) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করেন।প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৪ জন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত ফুল বেঞ্চ ওই রায় দেন।ফলে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ওই উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান খালেক আর প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারছেন না।সুপ্রিল কোর্টে বাদী প্রতিদ্বন্দ্বী এসএম বায়েজিদ হোসেনের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিনুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক।
আপিল শুনানি সূত্রে জানা গছে, এর আগে প্রার্থীতা ফিরে পেতে মুজিবুর রহমান খালেক একটি রিট করেন। এতে বৈধ প্রার্থী এসএম বায়েজিদ হোসেন ও অপর বৈধ প্রার্থী মো. শফিউল হক মিঠুকে কোনভাবেই প্রতিপক্ষ না করে রিট আবেদন করেন। তবে আপিল শুনানিতে প্রাসঙ্গিকভাবে উঠে আসে মো. মুজিবুর রহমান খালেক অগ্রনী ব্যাংকের ঋন খেলাপি হওয়ার কারনে তিনি মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষিত হবেন এমন আশঙ্কায় আদৌ মনোনয়নপত্র দাখিল না করে সুকৌশলে হাইকোর্টে বিষয়টি গোপন রেখে আদেশ নিয়েছিলেন।তবে রিট পিটিশনে মুজিবুর রহমান খালেক দাবী করেন তিনি অনলাইনে মনোনয়ন পত্র দাখিলে চেষ্টা করে ব্যার্থ হন। তবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তার ওই অভিযোগের উপর লিখিত মন্তব্য করেন বর্তমান চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান খালেক অনলাইনে আদৌ কোন মনোনয়ন পত্র সেন্ট করেন নি।উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে জেলার সদর উপজেলা সহ জেলার নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী এ ৩ উপজেলায় ইভিএম এর মাধ্যমে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।