নিজস্ব প্রতিবেদক :
মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া উপজেলা বসতঘর থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে গজারিয়া থানা পুলিশ।নিহতের স্বজনদের দাবি-পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে লাশটি।গজারিয়া উপজেলা উত্তর ফুলদী গ্রামের পূর্ব পাড়ায় নিজ বসতঘর থেকে ও-ই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।নিহত গৃহবধূ উত্তর ফুলদী গ্রামের রাকিব হোসেন প্রধানের স্ত্রী হালিমা আক্তার (২৫) রাকিব পেশায় একজন মিনিবাস-চালক।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে উত্তর ফুলদী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম প্রধানের ছেলে রাকিব হোসেন প্রধানের সাথে একই এলাকার পান সালের চর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে হালিমা আক্তারের বিয়ে হয়। রাকিব হালিমার দাম্পত্য জীবনে তাদের নেহা নামে ৯ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহত গৃহবধূর নয় বছরের মেয়ে নেহা বলে, আমরা বাবা গতকাল মায়ের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করেছে। সকালে আমি মাকে ফাঁসি দিতে দেখেছি।আমি কান্নাকাটি শুরু করলে আমার চাচি বিউটি এগিয়ে আসে। আমি দরজা খুলে দিলে তারা ঘরের ভেতর ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে মাকে নামায়।নিহত গৃহবধূর মা ডালিয়া আক্তার বলেন, সকাল পৌনে ৬টার দিকে আমাকে ফোন করে জানানো হয়েছিল আমার মেয়ে স্ট্রোক করেছে।খবর শুনে আমরা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ছুটে যাই, গিয়ে দেখি সে ফাঁস দিয়েছে।সাথে সাথেই আমরা তাকে গজরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, বিষয়টি কৌশলে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন প্রথমে আমাকে ‘স্ট্রোক করেছে’ বলে জানালো কেন? তারা প্রথম থেকেই মূল ঘটনা আড়াল করতে চাইছে।আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই।বিষয়টি নিয়ে নিহতের স্বামী রাকিব হোসেন প্রধান বলেন, সকল পরিবারের মধ্যে টুকটাক ঝগড়াঝাটি হয়। তবে এ নিয়ে সে তার জীবন শেষ করে দেবে এটা আমি ভাবতে পারিনি।ঘটনার সময় আমি কাঁচপুর ছিলাম, খবর পেয়ে আমি বাড়িতে আসি।বিষয়টি যারা হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছে তারা মিথ্যাচার করছে।বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ মহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।বিষয়টি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।বিস্তারিত পরে জানাবো।