মো. সাইদুল ইসলাম, ঝালকাঠি:
কোটা বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ঝালকাঠির রাজাপুরের হাইলাকাঠি গ্রামের সন্তান রুবেলের শোকার্ত পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি।শুক্রবার (১৬ আগষ্ট) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী'র কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট মুয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল, বরিশাল জেলা আমীর আব্দুল জব্বার, ঝালকাঠি জেলা আমীর এডভোকেট হাফিজুর রহমান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, রাজাপুর উপজেলা সেক্রেটারী মাওলানা কবির হোসেনসহ জামায়াতের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন।তাদের সাথে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত রুবেল'র পিতা আব্দুল মালেক তালুকদার।শোকার্ত পরিবারের আহাজারী ও কান্না দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন জামায়াত নেতৃবৃন্দও।পরে মালেক তালুকদারের হাতে আর্থিক সহায়তাও দেন নেতৃবৃন্দ।
নিহত রুবেলের ভাই সুমন তালুকদার বলেন, রুবেল তালুকদার ও ভাগ্নে হাবিব হাওলাদার এক সাথে ঢাকা আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সক্রীয়ভাবে জড়িত ছিলেন।তারা বৈষম্যবিরোধী সংশ্লিস্ট ছাত্র আন্দোলনের গ্রুপেও যুক্ত আছেন।ছোট ভাই রুবেল হোসেন সাভার ইপিজেড এ চাকুরী করতেন।গত ৫ আগষ্ট ২০২৪ অনুমানিক সকাল ১০টায় আশুলিয়া থানার সামনে পুলিশের সাথে ছাত্র জনতার সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা দু’জন আহত হন।মিছিলে আগত ছাত্র জনতা তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পরপরই তার ভাই রুবেল হোসেনকে আশুলিয়াস্থ নোভা হাসপাতালে নিয়ে যান এবং হাবিব হাওলাদারকে সাভার এনাম হাসপাতালে ভর্তি করালে বর্তমানে সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। গোলাগুলি এবং যানবাহনের সংকটের মধ্যে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে অনুমানিক বিকাল ৪টায় নোভা হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রুবেলকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহত রুবেলকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শহিদী মর্যাদা প্রদানেরও দাবী জানান স্বজনরা।