মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) সংবাদদাতা :
পাঁকা ধান কেঁটে নেয়ার প্রতিবাদ করায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় জেসমিন বেগম (৪০),তার মেয়ে মদিনা আক্তার (২০) ও দেবরের ছেলে সপ্তম শ্রেনীতে পড়–য়া সিয়াম (১৩) আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরতর আহত জেসমিন বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। জেসমিন বেগম ওই দেবীপুর গ্রামের প্রবাসি মহিউদ্দিন সরদারের স্ত্রী। আহত সূত্রে জানা যায়, জেসমিন বেগমের স্বামীর আড়াই কুড়া জমিতে চলতি মৌসুমে লোক দিয়ে চাষাবাদ করে ধান রোপন করেন। বর্তমানে ধানকাঁটা মৌসুমে প্রবাসি মহিউদ্দিন সরদারের ভাগিনা, একই এলাকার ফারুক হাওলাদারের ছেলে ফয়সাল ওই জমি দাবী করে ৩০-৪০ জন ভাড়াটিয়া লোক সহকারে ধান কাঁটতে শুরু করে। এসময় বাঁধা দিতে গেলে ফয়সাল ও তার খালাতে ভাই ভান্ডারিয়া উপজেলার হেতালিয়া গ্রামের আলমগীর হাওলাদারের ছেলে আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ৫-৭ জন লোক সন্ত্রাসী ষ্টাইলে তাদেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। ওই জমির বর্গাচাষী পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলার ইকরি গ্রামের বাসিন্দা আঃ সালাম মল্লিক বলেন, প্রবাসি মহিউদ্দিন সরদারের ওই জমি আমি চাষাবাদ করি। মঙ্গলবার সকালে ফয়সাল ও তার খালাতো ভাইয়ের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন ভাড়াটিয়া লোক ধান কাঁটতে শুরু করলে জেসমিন বেগম বাঁধা দেয়। প্রতিপক্ষরা তাকে মারধর শুরু করলে তার মেয়ে ও দেবরের ছেলে উদ্ধার করতে গেলে সবাইকে মারধর করা হয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফয়সাল হাওলাদারের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।