ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে ফৌজধারী কার্যবিধি (জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ) মামলায় স্বাক্ষী দেওয়ায় খাদিজা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহিনী শীলতাহানিসহ অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।মঙ্গলবার (০৪ মার্চ ) দুপুর ২ টার দিকে রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নে কানুদাসকাঠিতে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে পারিবারিক জমিজমার সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে ২০২৪ সালের ০৩ জুলাই রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়ন এর ৭ নং ওয়ার্ড পূর্ব কানুদাসকাঠি এলাকার মৃত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের ছেলে মোঃ মাশরাফুল ও তার পরিবারের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় প্রতিবেশী ও একই ওয়ার্ডের মোখলেছুর রহমান হাওলাদার, আবুল কালাম, তমা বেগম, ছাদিয়া প্রমূখ। এই ঘটনায় মোখলেছ সহ বেশ কয়েকজনের নামে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজধারী কার্যবিধি আইনের ( ১০৭/১১৭-গ) একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।এই মামলায় ১নং স্বাক্ষী খাদিজা বেগম মামলার তদন্ত অফিসার মঞ্জুরুল আলম এর নিকট সাক্ষ্য প্রদান করিলে মোখলেছ উদ্দিন ক্ষিপ্ত হন খাদিজা বেগমের উপর।সেই প্রেক্ষিতে ৪ মার্চ খাদিজা বেগম গৃহপালিত হাঁস ও হাঁসের বাচ্চা ফসলের মাঠ থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে গেলে মোখলেছ উদ্দিন ও অন্যান্যরা খাদিজা বেগমের পথরোধ করে স্বাক্ষী কেন হইছে এবং জবানবন্দি কেন দিছে সে জন্য অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এক পর্যায়ে হাঁস ও হাঁসের বাচ্চার উপরে লাথি মারতে থাকে ঘটনাস্থলেই ২ টা হাঁসের বাচ্চা মারা গেলে খাদিজা বেগম প্রতিবাদ করার সাথে সাথেই মোখলেছ তাকে প্রথমে হাত ও পা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে পরবর্তীতে খাদিজা বেগম চিৎকার করলে মোখলেছ উদ্দিন খাদিজা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাটিতে ফেলে শরীরের উপরে উঠে শরীরের স্পর্শকাতর জায়গাসহ সমগ্র শরীরে এলোপাথারি কিল, ঘুষি ও লাথি দেয় এবং তার পরিধেয় হিজাব এবং পোশাক ছিড়ে ফেলাসহ অমানবিক শারিরীক নির্যাতন করে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা তার চিৎকার টের পেয়ে ছুটে আসলে মোখলেছ উদ্দিন তৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় এবং স্থাণীয়রা খাদিজা বেগম কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। মামলার বাদী মাশরাফুল বলেন, আদালত অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে মোখলেজ উদ্দিন ও তার লোকজন হুমকি দিয়েছে। তার কয়েক মাস পর এমন হামলা মেনে নেওয়া কঠিন। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।অভিযুক্ত মোখলেজ উদ্দিন বলেন, আমি কিংবা আমার পরিবারের লোকজন এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার জেরে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে তারা। আমি কখনই মাশরাফুল কিংবা মামলার সাক্ষীকে হুমকি দেইনি।রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. তমাল বলেন, আহত খাদিজা বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।