সাইদুল ইসলাম :
চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশে তিনটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিষয় বরিশালের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ বলেন, আমরা মনে করি, বরিশাল অথবা ঝালকাঠি এ হাসপাতাল স্থাপনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। একটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এখানে হলে ভুটান, নেপাল ও চীনের ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে পড়াশোনা করতে আসবেন। চিকিৎসাসেবা নিতে আসবেন।এখানকার মানুষও বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা পাবেন।প্রস্তাবিত হাসপাতালের একটি ইতোমধ্যে রংপুর বিভাগে হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাকি ২টির একটি বরিশাল বিভাগে প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানাচ্ছি। নদীমাতৃক বরিশালে চীনের প্রস্তাবিত হাসপাতাল করলে অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলাসহ সারা দেশের মানুষ উপকৃত হবে।২২টি জেলার মানুষের আবাসভূমি দক্ষিণ অঞ্চল আজও স্বাস্থ্যসেবাসহ সার্বিকভাবে থেকে গেছে অবহেলিত, বঞ্চিত ও উপেক্ষিত। একটি আধুনিক ও সুসজ্জিত হাসপাতাল এখানে হলে চিকিৎসা সেবা থেকে যে বঞ্চিত মানুষ গুলো রয়েছে তারা চিকিৎসা সেবা পাবে, পাশের বিভাগ খুলনা তারা ওইখান থেকে চিকিৎসা সেবা পাবে খুব দ্রুত গতিতে।এই বিভাগে ভালো কোন চিকিৎসা সেবা না থাকায়, আজ আমার বোনকে হারাতে হয়েছে, আমি চাই আর যেন কোন মানুষকে চিকিৎসা সেবার কারণে মরতে না হয়।ঢাকায় অনেক বড় বড় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আনোয়ার খান মডান, ইবনে সিনা হসপিটাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বারডেম, ঢাকা মহানগর হসপিটাল,শহীদ সরোয়ারদী হসপিটাল, জাতীয় হৃদরোগ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, সহ সহ অনেক হসপিটালে রয়েছে, কিন্তু বরিশালে কোন মানসম্মত উন্নত মানের হসপিটাল না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত এ বিভাগের ২২ জেলার মানুষ।এর আগে ১৩ এপ্রিল স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাংলাদেশে পর্যায়ক্রমে তিনটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল তৈরি করবে চীনা বিনিয়োগকারীরা । তিস্তা প্রকল্পের আওতায় চীনের উপহারের হাসপাতাল বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের কূটনীতিক সম্পর্ক উপলক্ষে ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট তিনটি হাসপাতাল উপহার দেবে চীন সরকার। সেটি দেশের রংপুরে তৈরি করা হতে পারে এবং ১২ একর জায়গা নিয়ে স্থাপিত হবে এই হাসপাতালটি।