নাজমুল হক মুন্না উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিনিধি :
বরিশালের উজিরপুরে গায়ে হলুদের পর সন্ধ্যা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ রবের লাশ উদ্ধার,বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত বরের চাচা শ্বশুর মোহাম্মদ সেলিম সিকদার ও উজিরপুর মডেল থানার ডিউটি অফিসার এস, আই ওয়াহিদুজ্জামান মিলন।প্রত্যক্ষদর্শী আমানউল্লাহ আমান জানান, শনিবার (২৫ মে) দুপুর তিনটার দিকে বড়াকোঠা ইউনিয়নের চতলবাড়ি নামক স্থানের সন্ধ্যা নদীর ডুবে যাওয়ার (ঘটনাস্তলের) কয়েকশো গজ দূরে মরদেহ ভেসে উঠে।শনিবার ভোর থেকে স্বজনরা ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের সাহায্য নিখোঁজ মিরাজুল ইসলাম আরিফকে খোঁজাখুঁজি করে স্বজনরা। কোথাও লাশের সন্ধান মেলেনী হঠাৎ দুপুর তিনটার দিকে ডুবে যাওয়ার কয়েকশো গজ দূরে লাশ ভেসে ওঠে।
উল্লেখ্য শুক্রবার বেলা পৌনে একটার দিকে কুরআনের হাফেজ মিরাজুল ইসলাম আরিফ (২৪) নদীতে গোসল করতে গেলে পানির স্রোতে নিখোঁজ হন।উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাফর আহমেদের জানান, বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে অপর দুইভাই সহ আরিফ সন্ধ্যা নদীর চতলবাড়ি এলাকায় গোসল করতে নামে।এ সময় স্রোতের টানে দুই ভাইসহ ভেসে যেতে থাকে।তখন স্থানীয়রা দুই ভাইকে উদ্ধার করেন।নিহত আরিফ গাজীপুরের কাশিমপুর থানার সুলতান মার্কেট এলাকার বাসিন্দা মো. মিন্টু খানের ছেলে।আরিফ স্কয়ার টেক্সটাইলের গাড়ি চালক।পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান, বলেন, নিখোঁজ আরিফ দু.সম্পর্কের মামাতো বোনকে বিয়ের জন্য পরিবারসহ বৃহস্পতিবার রাতে উজিরপুরের গাববাড়ী এলাকায় আসেন।শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে গাববাড়ী এলাকার মৃত নাসিরউদ্দিনের কন্যা নিপা আক্তারের সাথে বিয়ে হয়।বিয়ের পর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয়েছিল। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী নিখোঁজের সন্ধানে তল্লাশী করে ব্যর্থ হয়।স্বজনরা তাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখেন। উজিপুর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাফর আহমেদ জানান, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।