পিরোজপুর প্রতিনিধি :
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পিরোজপুরের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল এলাকা প্লাবিত।ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলার উপকূলীয় এলাকার আকাশ সকাল থেকেই বেশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে।দুপুরের দিকে ঝোড়ো হাওয়ার সাথে হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে।ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলার সন্ধ্যা,কালিগঙ্গা, বলেশ্বর, কচা নদী বেশ উত্তাল। এ সব নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।এতে করে প্লাবিত হয়েছে জেলার নিম্নাঞ্চল, চরাঞ্চল এবং বেরিবাধের বাইরে এলাকা।আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আজ রবিবার রাত নাগাদ পিরোজপুর অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল।তাই পিরোজপুরে ১০ নম্বর মহাবিদ সংকেত দেখিয়ে দিতে বলা হয়েছে।পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এবং জানমাল রক্ষার জন্য ২৯৫ টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ২৬৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মাট ৫৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছ।এসব আশ্রয়ন কেন্দ্রে মানুষ আশ্রয় নেয়ার জন্য আসা শুরু করেছেন।যেখানে ৩ লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।এছাড়া জেলা প্রশাসনের কাছে ৬ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, ৬১১ টন চাল, ১ হাজার ৩৫০ প্যাকট শুকনা খাবার এবং ৯৭ ব্যান্ডিল টিন মজুদ রয়েছে।আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য ৬৫ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সার্বিক যোগাযোগের জন্য ৮ টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় কাউখালীতে ৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি রোববার সন্ধ্যা নাগাদ আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের খয়ক্ষতি ও জানমাল রক্ষার জন্য সবাই যেন আশ্রয়কেন্দ্রে যায় সে লক্ষ্যে উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে আহ্বান জানানো হচ্ছে।