পিরোজপুর প্রতিনিধি :
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে পিরোজপুরে সাত হাজার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক হিসাব পাওয়া গেছে। পাশাপাশি এর আঘাতে জেলায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।নিহতরা হলেন- পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের মো. জাকির হোসেন (৫৫), ইন্দুরকানী উপজেলায় চানবরু বেগম (৭৫), তেলিখালী ইউনিয়নের মাজেদা বেগম, ভাণ্ডারিয়া উপজেলার পৌর এলাকার দিহান (৩) নামে এক শিশু ও পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকার মো. হাসান নামে এক যুবক।এর মধ্যে গাছচাপায় তিনজন ও পানিতে ডুবে দুইজন মারা গেছেন।জেলার সাত উপজেলার ৭২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।এদিকে প্রায় দেড়শত কোটি টাকার মাছের ঘের, ৫০ কোটি টাকার পোল্ট্রি খামার, প্রায় ২০ কোটি টাকার কৃষি পণ্য নষ্ট হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বলছে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় যথাযথ তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর বলেন, পিরোজপুরের সাত উপজেলাতেই নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে।আর ওই পানি বিভিন্ন এলাকায় আটকা পড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালে জেলার সাতটি উপজেলার প্রায় দেড় হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং জেলায় পাঁচ হাজার ৮০০ ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।এছাড়া এক হাজার ৮০০ মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে গেছে।জেলায় সাত হাজার ৮৮৬ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।১০ হাজার পুকুর ঘের জলাশয় প্লাবিত হয়েছে।বাকী তথ্য সংগ্রহে কাজ চলছে।