নাসিম উদ্দীন ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ৬নং জুনিয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাসানুজ্জামান এর বিরুদ্ধে একযোগে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন উক্ত পরিষদের ইউপি সদস্যগণ। এ ব্যাপারে গতকাল রবিবার তারা ইউএনও এবং জেলা প্রশাসকের নিকটে স্মারকলিপি দাখিল করেছেন। এছাড়া লিখিতভাবে জমা দিয়েছেন অভিযোগ। মেম্বারদের অনাস্থা এবং মৌখিক বক্তব্য থেকে জানা যায় যে, উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভূমি অফিসের ১% মতান্তরে ২% বরাদ্দকৃত টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে জমা না রেখে বিভিন্ন কৌশল খাটিয়ে আত্মসাতের নীল নকশা করেন ও অপচেষ্টা চালান। পরে সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে অনেক কথা ও অনাস্থা আপত্তি হওয়ার কারণে তিনি নাকি তা হজম করতে না পেরে উগলে দেয়ার মত করে ব্যাংকে জমা দিয়েছেন। বর্তমানে চেয়ারম্যান সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ত্রান ও অনুদানের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন মর্মে মেম্বাররা অভিযোগ করেছেন। উক্ত সকল ওয়ার্ড সদস্যের কাছে বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ, টিসিবি কার্ড, মাতৃত্বকালীন কালীন ভাতা, বীজ সারের প্রভৃতি ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান সরাসরি দুর্নীতি করে থাকেন মর্মে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়। উক্ত নানাবিদ সমস্যার বিষয়ে মেম্বাররা চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করতে তিনি গেলে দলীয় ক্ষমতা দেখাতেন ও হুমকি দিতেন। এছাড়াও জুনিয়ারদহ ইউনিয়নের জনগণের কাছে তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ হিসাবে পরিচিতি পেয়ে গেছেন।চেয়ারম্যানের ক্ষমতা পেয়ে তিনি সাধারণ মানুষের সেবা যেমন জন্ম নিবন্ধন সংশোধন, মৃত্যু নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ সহ অন্যান্য প্রত্যয়ন পত্র প্রদানে অনীহা এবং অসাদাচারণ করেন। ০৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ থেকে তিনি পরিষদের গ্রাম আদালতে অনুপস্থিত রয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০০৯ সালের ধারা ৩৪ (ক) অনুযায়ী যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত হওয়া ৩৪ (ঘ) অসাদাচারন বা ক্ষমতার অপব্যবহার এর দোষে দোষী হতে পারেন বা পরিষদের অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতিসাধন বা আত্মসাৎ করা এই ধারার মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারনযোগ্য বলে মনে করেন স্বাক্ষরকারী মেম্বাররা।এছাড়াও মেম্বাররা আরো বলেন, পরিষদে একটি টিউবয়েলও নেই যাতে করে তারা পানি পান করতে পারেন। নানা রকম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে পরিষদ। এমতাবস্তায় উক্ত অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির গ্রাস থেকে ওই এলাকাবাসীকে মুক্তি দিতে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মেম্বাররা। মেম্বাররা আরো বলেন, দ্রুত ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব প্রশাসক গ্রহন করলে জনগনের ভোগান্তি কমবে।