প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া শুরু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদোন্নতির জটিলতা অবশেষে কেটেছে। সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া শুরু হয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলায় ২০১ জন শিক্ষক পদোন্নতি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার(৩ আগষ্ট) ওই ২০৫ জন শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিয়ে আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে বেতন পাওয়া সহকারী শিক্ষকরা পদোন্নতি পেয়ে ১১তম গ্রেডে বেতন পাবেন। সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশের প্রেক্ষিতে এ শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, পদোন্নতি পাওয়াদের মধ্যে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১২৬ জন, কমলনগর উপজেলার ২৮ জন ও রায়পুরা উপজেলার ৪৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলার ২০৫ জন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির অফিস আদেশ জারি করেছে। এর মাধ্যমে সহকারী শিক্ষকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো। তিনি আরো জানান, পদোন্নতিপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের আগামী ৮ আগস্ট লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে যোগদান করতে হবে। ওই দিন কেউ যোগদানে ব্যর্থ হলে তিনি পদোন্নতি যোগ্য নন বলে গণ্য হবেন এবং তার পদোন্নতির আদেশ বাতিল হবে। যোগদান পরবর্তী দুই কার্য দিবসের মধ্যে নতুন প্রধান শিক্ষকদের পদায়ন করা হবে। এ ক্ষেত্রে চলতি দায়িত্ব বা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিয়োজিত পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকদেরকে কর্মরত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদেই পদায়ন করতে হবে। গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের নির্দেশনায় মন্ত্রণালেয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের উদ্যোগে পদোন্নতির জটিলতার নিরসন হয়েছে। মামলা ছাড়াও সারা দেশের সহকারী শিক্ষকদের গ্রেডেশন তালিকা চূড়ান্ত করা নিয়ে বড় ধরনের জটিলতা ছিলো। কারণ, বিষয়টি ছিলো জটিল ও সময়সাপেক্ষ। এ সমস্যা উত্তরণে ‘সমন্বিত গ্রেডেশন ব্যবস্থাপনা’ নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। এরপরই ডিজিটাল পদ্ধতিতে চূড়ান্ত হয় গ্রেডেশন লিস্ট।